কক্সবাজারে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা শঙ্কাহীন

মোহাম্মদ ফারুক •

 

কক্সবাজারে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত দুই সহস্রাধিক বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসন।

এখানকার বিদেশিরা কোন শঙ্কা না জানালেও প্রকল্প এলাকায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশেষ গোয়েন্দা শাখা।

বিশেষ গোয়েন্দা শাখা শুত্রে জানা যায়,কক্সবাজারে বিভিন্ন প্রকল্প ও এনজিওতে ২হাজার ২ শত ৩৪ জন বিদেশি নাগরিক কর্মরত আছেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, রেলওয়ে প্রকল্প, হোপ ফাউন্ডেশনে,জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায়।এছাড়া জেলার বিভিন্ন এনজিও শাখাতেও বিদেশিরা কর্মরত আছেন।এখানে বেশিরভাগ চায়না,মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আমেরিকা এসব দেশের নাগরিক অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি বলে জানা যায়।তাঁরা জেলার বিভিন্ন আবাশিক হোটেলে এবং বাড়া বাসায় থাকেন।

কক্সবাজার ডি আই ওয়ান মোঃ আলী আর্শাদ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি তারাও দেখছে । এছাড়া বিজিবি,র‌্যাবও আছে। তিনি আরো জানান,

কক্সবাজারে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ, তাতে এদেশের পাশাপাশি কাজ করছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক কাজ করছেন বিভিন্ন প্রকল্পে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, থাইল্যান্ড, ভারতসহ প্রায় ২ হাজারের অধিক বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন এসব প্রকল্পে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাহীন এখানকার বিদেশি কর্মীরা।

এদিকে, নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিদ্র করতে প্রকল্প এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প ও বাড়ানো হয়েছে টহল।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯ শত তেত্রিশ জন পুলিশ ফোর্স ওখানে সার্বক্ষনিকভাবে টহল এবং নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

বলেন, মাতারবাড়িতে যেখানে তারা কাজ করে সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। টহল বাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করা হয়েছে।

জেলায় যে কয়টি বড় প্রকল্পে বিদেশিরা কাজ করছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশি কাজ করছেন মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে। কক্সবাজারে কর্মরত বিদেশিদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন।